fbpx
কীভাবে নিজের ই-কমার্স বিজনেসের (Ecommerce Business) সেল বাড়াবেন?

কীভাবে নিজের ই-কমার্স বিজনেসের (Ecommerce Business) সেল বাড়াবেন?

Last Updated on January 26, 2023 by Engineers

কীভাবে নিজের ই-কমার্স বিজনেসের (Ecommerce Business) সেল বাড়াবেন?

ই-কমার্স ব্যবসা (Ecommerce Business) বর্তমানে খুব কমন একটি বিষয়। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ই-কমার্স সাইট রয়েছে। যারা প্রতিদিনই তাদের ব্যবসা কে বড় করছে । সত্যি বলতে অনলাইন বিজনেস বা ই-কমার্স ব্যবসা (Ecommerce Business) এ টিকে থাকা দিন দিন অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

অনেকেই সাইট আর ফেসবুক গ্রুপ অপেন করে মনে করে যে এই ব্যবসা খুব সহজ কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে তারাই জানে এখানে টিকে থাকা কত কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং।

প্রতিনিয়তই নানান রকমের প্রতিবন্ধকতা সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় অনলাইন মার্কেটে। যারা বিভিন্ন ভাবে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের কে ক্ষাপ খাইয়ে রাখতে পারে একমাত্র তারাই এই ই-কমার্স জগতে টিকে থাকতে পারে।

আজ আমরা দেখব কিছু ট্রিক্স যা আমাদের অনলাইন ব্যবসায় টিকে থাকতে সাহায্য করতে পারে। তো চলুন শুরু করা যাক।

পন্যর উপর ডিসকাউন্ট দিনঃ

নিজের ব্যবসার সেল বৃদ্ধি করার জন্য ডিসকাউন্ট একটি অন্যতম কৌশল। সাধারনত আমরা সবাই ছাড় পেতে ভালোবাসি। যদি রেগুলার কোন পণ্যর দাম প্রতিদিনকার দামের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায় তখন আমাদের সেই পন্য কিনতে খুব আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাই নিজের কিছু প্রোডাক্টের উপর ডিসকাউন্ট দিন। এতে করে সেই প্রোডাক্টের সেল বৃদ্ধি পাবে। আপনি আপনার লাভের অংশ থেকে কিছুটা ছাড় দিন। ডিসকাউন্ট দেওয়া নির্দিষ্ট পন্যর উপর অন্যতম একটি উপায় নিজের ব্যবসার বিক্রি করার।

উৎসবের দিনগুলো কে টার্গেট করুনঃ

বাঙ্গালী মানেই বিভিন্ন অকেশন। ইদ, পূজা, বিজয় দিবস,ভালোবাসা দিবস। এই বিভিন্ন অকশনে বড় করে ক্যাম্পেইন চালু করে আপনি খুব সহজেই নিজের ব্যবসার বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন। প্রতি মাসেই কোন না কোন সরকারি ছুটি বা অকেশন থাকে। তাই সেটাকে টার্গেট করে বিভিন্ন রকম অফার চালু করতে পারেন আপনার ব্যবসার জন্য। এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকরী আর ফলপ্রসু।

সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিনঃ

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসায়ে সফলতা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং অন্যসব মাধ্যম। তাই যদি আপনি চান অধিক পরিমানে বিক্রি বৃদ্ধি করতে এবং আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট সকল স্থানে সকল মানুষের নিকট পৌছে যাক তবে আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। মূলত বিভিন্ন পেইড ক্যাম্পেইন, বুস্ট করা। যদি আপনি সঠিক ভাবে আপনার ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সবাই কে আপনার প্রোডাক্ট এবং ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বিক্রি বৃদ্ধি পাবেই।

ব্লগিং করুনঃ

নিজের সাইটের ব্লগিং করুন। আপনার ই-কমার্স আয়ের সাইটে নিজের জন্য একটা ব্লগ তৈরি করে সেই সাইটের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধারনা দিন। এতে করে আপনার কোম্পানি এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে পূর্ন ধারনা পাবে এবং আপনার কোম্পানির প্রতিও তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। আর ব্লগ যদি পপুলার হয়ে যায় তবে এটা আপনার কোম্পানির জন্য ভীষণ ভালো একটি দিক হিসাবে বিবেচিত হবে। তাই সুন্দর ব্লগিং আপনার কোম্পানির বা সাইটের প্রসারের জন্য খুবই জরুরী।

রেফারাল প্রোগ্রাম চালু করুনঃ

রেফারাল পদ্ধতি কে এম এল এম বলে হাসি ঠাট্টা করলেও এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকরী। যদি রেফারাল সিস্টেম চালু করেন তবে নিশ্চিত রুপে কিছুটা হলেও আপনার সেল বৃদ্ধি পাবেই।

গিফট ভাউচারঃ

বিভিন্ন ভাবে কাস্টমারকে গিফট ভাউচার প্রদানের মাধ্যমে নিজের ব্যবসার জন্য কাস্টমার কে আকৃষ্ট করতে পারেন। যদি কোন নির্দিষ্ট রুলস তৈরি করে গিফট ভাউচার দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় তবে তা নিশ্চিত রুপেই সেটা আপনার সেল বৃদ্ধি করবেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নজর দিনঃ

বর্তমান অনলাইন মার্কেট প্লেসে টিকে থাকার জন্য আপনাকে নিশ্চিত রুপে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফোকাস করতেই হবে। যত সম্ভব ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইনভেষ্টমেন্ট করুন আর সম্ভব হলে একজন ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ করুন। যত প্রসার বৃদ্ধি পাবে ততটাই আপনার সেল বৃদ্ধি পাবে।

নিজের সাইটের SEO করুনঃ

সার্চ ইঞ্জিন অপিটিমাইজিং এই মার্কেট প্লেসে খুব জরুরী একটি বিষয়। গুগলে আপনার সাইটটি প্রথম পেজে আনা এবং যথাযথ কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে নিজের সাইটটি কে র‌্যাংক করাই মূলত SEO. বড় বড় কোম্পানি অনেক টাকা ইনভেষ্ট করে নিজেদের ব্যবসার প্রচারণার জন্য SEO কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। প্রতিনিয়তই SEO করতে থাকে। SEO একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়। তাই এখন থেকেই নিজের সাইটের SEO করতে থাকুন। দেখবেন একটা সময় এই SEO আপনার সাইটটিকে র‌্যাংক করে দিবে। এবং সেখান থেকেও আপনি অনেক ক্রেতা খুজে পাবেন। তাই যথাযথ সময়ে যোগ্য একজন SEO অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে নিজের সাইটের SEO করতে থাকুন।

লিমিটেড প্রোডাক্ট বিক্রি অফার করুনঃ

লিমিটেড জিনিষের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে। তাই মাঝে মাঝে নিজের সাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে লিমিটেড প্রোডাক্ট বিক্রি চলছে এই ভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠান অনেক মুনাফা অর্জন করে। এবং অনেক পরিমান পণ্য বিক্রিও করে থাকে। যদিও আপনার ব্যবসা ছোট বা মাঝারি হয় তাও আপনি এই ভাবে নিজের পন্য কে বাকি সব ক্রেতাদের নিকট আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে পারেন।

এপ্রিশিয়েশন নোট প্রদানঃ

প্রতিটা পন্য ডেলিভারির সময় একটা করে এপ্রিশিয়েশন নোট দিতে পারেন। এতে করে আপনার লয়েল কাস্টোমার তৈরি হবে যারা ভবিষ্যতে আপনার কোম্পানির প্রতি আস্তা পাবে এবং নিয়মিত আপনার পন্য নিবে। ব্যবসাতে সম্পর্ক তৈরি করা খুবই জরুরি। তাই কাস্টোমারদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। লয়েল কাস্টোমার সর্বদাই আপনার কোম্পানির সাথে থাকবে।

ফেসবুক সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে প্রোমোশন করুনঃ

সোশ্যাল সেলিব্রেটি যারা বা যারা ফেসবুক সেলিব্রেটি তাদের কে পেয় করে নিজের কোম্পানির প্রোমোশন করাতে পারে। তাদের উপর সাধারণ মানুষেরা আস্থা রাখে। যদি এমন কোন ব্যক্তি আপনার কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে নিশ্চিত রুপে বলা যেতে পারে আপনি কিছুটা হলে নিজের পন্যর বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।

কাস্টোমারের মতামত কে প্রাধান্য দিনঃ

আপনার কোম্পানি অথবা ব্যবসার চালিকা শক্তি হচ্ছে আপনার ক্রেতাগণ। তাই যে কোন বিষয়ে তাদের মতামত নিন। তাদের মতামত আপনার ব্যবসার ক্ষুটিনাটি বিষয়া আসয় আপনার নিকট ফুটিয়ে তুলবে। তাই যথাযথ ভাবে তাদের প্রতিটি অভিযোগ শুনন এবং সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনার ব্যবসার উন্নয়ন করুন। কোন মতামতই ফেলে দেয়ার মত নয়। সব মতামত গ্রহণযোগ্য এবং সেটার উপর সঠিক ব্যবস্থা নিন।

পরিশেষে বলতে পারি এই প্রতিযোগিতা পূর্ন পৃথিবীতে সবাই বিভিন্ন ভাবে নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানান রকম পদ্ধতি অনুসরণ করছে। সময়ের সাথে সাথে আপনার মার্কেটিং স্ট্রেটেজি, পদ্ধতি এবং নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে। সেটা না হলে কখনো টিকে থাকতে পারবেন না। আশা করি এই উপরোক্ত টিপস গুলো কিছুটা হলেও আপনার ই-কমার্স ব্যবসায়কে (Ecommerce Business) গতিশীল করবে।

ক্যারিয়ার টিপস (Career Tips): যা আপনাকে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সহায়তা করবে।

অনলাইন আয়ের সেরা ১০ টি উপায়-(Online Income Tips Bangla)

যেভাবে নিজেকে আরো যোগ্য করে তুলবেন চাকরির জন্য