fbpx
সরকারি বেতন স্কেল, গ্রেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদির তালিকা

সরকারি বেতন স্কেল, গ্রেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদির তালিকা

Last Updated on January 26, 2023 by Engineers

সরকারি বেতন স্কেল, গ্রেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদির তালিকা

শিক্ষাজীবনের পরের পর্ব কর্মজীবন। আর কর্মজীবন মানেই যেন সোনার হরিণ তথা চাকরি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে উন্নত চাকরি মানেই সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা যেন অধিকাংশের স্বপ্ন। সরকারি চাকরি মূলত এর সুযোগ সুবিধার জন্যই সবার এত কাংখিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক সরকারি বেতন স্কেল , গ্রেডিং সিস্টেম, বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি।

সরকারি চাকরির বেতন স্কেল এখন গ্রেড ভিত্তিক।আগে সরকারি বেতন স্কেল ৪ টি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল যা কিনা বর্তমানে ২০ টি গ্রেডে ৪ টি শ্রেণিতে ভাগ করে হয়েছে। আগের প্রথম শ্রেণি বর্তমানে ১ম থেকে ৯ম গ্রেড এবং ২য় শ্রেণি বর্তমানে ১০ গ্রেড। আগের ৩য় শ্রেণি বর্তমানে ১১-১৬ তম গ্রেড এবং সর্বশেষ ১৭-২০ তম গ্রেড হল ৪র্থ শ্রেণী।

সরকারি বেতন স্কেল, গ্রেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদির তালিকা।

*প্রথম শ্রেণি -১ম থেকে ৯ম গ্রেড ।

*দ্বিতীয় শ্রেণি – ১০ম গ্রেড ।

*তৃতীয় শ্রেণি- ১১-১৬ তম গ্রেড।

*চতুর্থ শ্রেণি-১৭-২০ তম গ্রেড ।

সরকারি বেতন স্কেল, গ্রেডিং সিস্টেম ও অন্যান্য সুবিধাদির তালিকা

১ম থেকে ৯ম গ্রেড (প্রথম শ্রেণি) :

১ম থেকে ৯ম গ্রেডে নিয়োগ দেন সয়ং প্রেসিডেন্ট। এই গ্রেডসমূহের ভিতর যিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা বা গেজেটেড অফিসার বা ক্যাডার। এরা সর্বাধিক বেতন এবং সেই সাথে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের তুলনায় বেশি সুযোগ সুবিধা পান। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় এদের মর্যাদা এবং দায়-দায়িত্ব এবং সুযোগ সুবিধার পরিধি তুলনা মূলক ভাল অবস্থানে আছে। এই গ্রেডের উপরে আছে সচিব বা মূখ্য সচিব।

পিএসসি কর্তৃক নিয়োগকৃত ২৭ ধরণের চাকরিকে ক্যাডার এবং পিএসসি কর্তৃক নিয়োগকৃত অন্যান্য সরকারি চাকরিকে নন-ক্যাডার জব বলা হয়।

নন-ক্যাডার জব গ্রেড ৯ হলে ১ম শ্রেণি এবং গ্রেড ১০ হলে ২য় শ্রেণি বলা হয় ক্যাডার আর নন-ক্যাডার জব এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল, ক্যাডারগণ প্রমোশন পেয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যেতে পারেন, যা কিনা নন-ক্যাডারগণ যেতে পারেন না। প্রায় সব ক্যাডারই কমপক্ষে সর্বোচ্চ গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারেন, অন্যদিকে নন-ক্যাডারে বেশির ভাগ পদই ব্লক পোস্ট।

বিসিএস ক্যাডার মূলতঃ দুই প্রকার জেনারেল (পুলিশ, এডমিন, পররাষ্ট্র ইত্যাদি) এবং টেকনিক্যাল (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়ক ও জনপদ ইত্যাদি)।

জেনারেল ক্যাডারে যে কেউ যে কোন সাবজেক্ট থেকে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করতে পারেন, কিন্তু টেকনিক্যাল ক্যাডারে চাকরি করতে হলে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা লাগবে। যেমন, এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ সরকারি ডাক্তার হয়ে চাকরি করতে পারবেন না।

এদের চেনার উপায় হল, সরকারি যে কোন অফিসে ৪ ধরনের স্টাফ থাকে। যার মধ্যে রয়েছে ক্যাডার, তার নীচে কর্মকর্তা তার নীচে কর্মচারী। এদের মাঝে ১ম, ২য় এদের গেজেটেড কর্মকর্তা বলা হয়। ৩য় শ্রেণির যারা তারাও হল কর্মকর্তা। ৪র্থ শ্রেণির যারা তারা হল কর্মচারী।

প্রথম শ্রেণি মানেই নূন্যতম ৯ম গ্রেড আর দ্বিতীয় শ্রেণি কেবল ১০ম গ্রেড। আর সকল ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক (Assistant Director) প্রথম শ্রেণির বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি না সব এডিই প্রথম শ্রেণির।

১০ম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণি) :

২য় শ্রেণির মধ্যে শুধু মাত্র একটি গ্রেড ই আছে। সেটি হচ্ছে ১০ম গ্রেড। এই গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত পুলিশের এসআই দ্বিতীয়, প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক এবং সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

১১-১৬ তম গ্রেড ( তৃতীয় শ্রেণি) :

১১ থেকে ১৬ তম গ্রেড তৃতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির এবং সকল ডিপার্টমেন্টের অফিস সহকারী, কম্পিটার অপারেটর/ ষাট মুদ্রাক্ষরিক তৃতীয় শ্রেণির।

১৭-২০তম গ্রেড (চতুর্থ শ্রেণি) :

চতুর্থ শ্রেণির মধ্যে রয়েছে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেড।অফিস সহায়ক চতুর্থ শ্রেণির যার স্কেল ৮,২৫০ যেমন প্রাইমারি স্কুলের পিওন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন গ্রেডে কত বেতন ও সরকারি ভাতা রয়েছে।

মূল বেতন ও অন্যান্যঃ

সরকারি চাকরিতে সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা আর সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা সুপারিশ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত পে-কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে।

২০টি গ্রেডে পেশ করা পে কমিশনের সুপারিশে সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা সুপারিশ করা হলেও, এই স্কেলের বেতন ভাতাসহ অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একইভাবে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৮ হাজার ২৫০ টাকা সুপারিশ করা হলেও সব মিলে দাঁড়াবে ২০ হাজার ১০ টাকা।

প্রথম স্কেলে বাড়ি ভাড়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বা ৪০ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা, ডোমেস্টিক এইড ভাতা ৩ হাজার টাকা, উৎসব ভাতা ১৩ হাজার ৩৩ টাকা, আপ্যায়ন ভাতা ৩ হাজার টাকা ও শিক্ষা ভাতা ২ হাজার টাকা করা হয়েছে।একইভাবে সর্বনিম্ন স্কেলের বাড়ি ভাড়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা ২ হাজার টাকা, ধোলাই ভাতা ১৫০ টাকা ও টিফিন ভাতা ৩০০ টাকা।

অন্যান্য ভাতা ও সুবিধাদিঃ

মূলবেতনের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কিছু ভাতা এবং সুবিধা প্রধান করা হয়।

বাড়িভাড়াঃ

৪৫ হাজার টাকা ও এর উর্ধ্বে ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকার জন্য বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২৮ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২৩ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার টাকা।

জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২১ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৩২ হাজার টাকা। অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১৯ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ২৮ হাজার টাকা। মূল বেতনের ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪৪ হাজার ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকার জন্য ৬০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১৬ হাজার টাকা।জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১৩ হাজার টাকা। অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১১ হাজার ৫০০ টাকা। ১৩ হাজার টাকা থেকে ২৪ হাজার ৯৯৯ পর্যন্ত ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকার জন্য মূল বেতনের ৬৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৮ হাজার ৫০০ টাকা।

জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৮ হাজার টাকা। অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৭ হাজার ২০০ টাকা।১২ হাজার ৯৯৯ পর্যন্ত ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকার জন্য মূল বেতনের ৭০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৬ হাজার ৫০০ টাকা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার ও সাভার এলাকার মূল বেতনের ৬৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৬ হাজার।জেলা শহরের জন্য মূল বেতনের ৬০ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যান্য স্থানের জন্য মূল বেতনের ৫৫ শতাংশ হারে কমপক্ষে ৫ হাজার।

চিকিৎসা ভাতা ও বীমা সুবিধাঃ

মাসে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০ টাকা। অবসরভোগীদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছরের কম বয়স্কদের জন্য মাসিক ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি সরকার প্রদত্ত ৪০০ টাকা স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বীমা এবং জীবন বীমাসহ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য বীমা স্কিম চালু করা।

যাতায়াত ভাতাঃ

দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কর্মরত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ১০ নাম্বার থেকে ১৬ নাম্বার গ্রেডে চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে যাতায়াত ভাতা মাসে ৩৬০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।

গাড়ির সুবিধাঃ

সার্বক্ষণিক গাড়ির সেবার জন্য প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য নগদায়নের বিষয়টি চালু রাখা। একই সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে ৩ নং গ্রেডের উপরের কর্মকর্তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষা সহায়ক ভাতাঃ

সকল শ্রেণির চাকরিজীবীদের সন্তান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা, ২ সন্তানের জন্য ২ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়ক ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির জন্য সরকারি অর্থে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ সুপারিশ প্রযোজ্য হবে না।

টিফিন ভাতাঃ

মাসে টিফিন ভাতা ৩০০ টাকা। তবে যে সব চাকরিজীবী তাদের প্রতিষ্ঠান দুপুরের খাবার পান কিংবা দুপুরের খাবারের ভাতা পান তাদের জন্য এ টিফিন ভাতা প্রযোজ্য হবে না।

উৎসব ভাতাঃ

সকল চাকরিজীবীদের জন্য প্রতি বছরে ২ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ উৎসব ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একজন অবসরভোগীর জন্য তার মাসিক নিট পেনশনের দ্বিগুণ হারে বছরে ২টি উৎসব ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতাঃ

সকল শ্রেণির চাকরিজীবীকে বর্তমান প্রচলিত প্রতি তিন বছরের স্থলে ২ বছর অন্তর ১৫ দিনের গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ ১ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছে।

ধোলাই ভাতাঃ

৪র্থ শ্রেণির চাকরিজীবীদের জন্য ধোলাই ভাতা মাসে ১৫০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছে।

কার্যভার ভাতাঃ

কার্যভার ভাতার শতকরা হার অপরিবর্তিত রেখে সর্বোচ্চ সীমা মাসে ২ হাজার ৫০ টাকা উন্নীত করা।

গৃহকর্মী ভাতাঃ

গৃহকর্মী ভাতা অপরিবর্তীত আছে।

পোশাক পরিচ্ছদ সুবিধাঃ

প্রচলিত নিয়মে পোশাক পরিচ্ছদ প্রদানের সুবিধা চালু রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

পাহাড়ি ও দুর্গম ভাতাঃ

পার্বত্য এলাকায় কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পাহাড়ি ভাতা পুনঃনির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাওড়-বাওড়, দুর্গম দ্বীপ অঞ্চলে উপকূলীয় ভাতা।

আপ্যায়ন ভাতাঃ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মূখ্য সচিব ৩ হাজার টাকা, সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা ২ হাজার ৫০০ টাকা, অতিরিক্ত সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা ২ হাজার টাকা, যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১ হাজার ৫০০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।

ভ্রমণ ভাতাঃ

বদলিজনিত ভ্রমণ ভাতা এককালীন সড়ক পথে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা, ১০১ থেকে ২০০ কি.মি. পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, ২০১ থেকে এর বেশি কি.মি. হলে ২০ হাজার টাকা ভ্রমণ ভাতার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশেষ ভাতাঃ

বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএফ ইত্যাদি বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য বিশেষভাতা বেতন কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বয় করা যেতে পারে।

অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাঃ

পেনশনযোগ্য চাকরিকাল প্রথম গ্রেড থেকে ১৬ গ্রেড পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পেনশনযোগ্য চাকুরিকাল ৫ বছর থেকে শুরু করে ২৫ বছর পর্যন্ত পেনশনের হার গ্রেড অনুযায়ী ২০ শতাংশ থেকে গ্রেড অনুযায়ী ৯০ শতাংশ সুপারিশ করা হয়েছে।

বাধ্যতামূলক সমর্পিত ৫০ শতাংশ পেনশনের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার ৫ বছর থেকে শুরু করে ২০ বছর পর্যন্ত প্রতি ১ টাকায় ২৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৩০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে। চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে চাকরিকাল ২৫ বছর থেকে ২০ বছরে পুনঃনির্ধারনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জীবন, স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বীমা প্রবর্তন। সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য পে-কমিশনে এ বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

আবাসন ও গৃহ নির্মাণ ঋণঃ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঋণের পরিমাণ গ্রেড অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা গৃহ ঋণ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ব্যাংক রেটে ৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে খাস জমি চিহ্নিত করে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা।

৮ম থেকে ১ম গ্রেড স্কেলের কর্মকর্তাদের ২০ জনের জন্য ১০ কাঠা ও অন্যান্য চাকরিজীবী প্রতি ২০ জনের জন্য ৮ কাঠা প্লট দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সমৃদ্ধ সোপান ব্যাংক স্থাপনঃ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সমৃদ্ধ সোপান ব্যাংক স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য মৃত্যুর পর দাফনের জন্য বেশ কয়েকটি স্থানে কবরস্থান নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিশেষায়িত চাকরিজীবীদের জন্য বেতন কাঠামো আলাদা রাখা।

কিভাবে সরকারি চাকরি পাবেন!

ক্যারিয়ার টিপস (Career Tips): যা আপনাকে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সহায়তা করবে।

যেভাবে নিজেকে আরো যোগ্য করে তুলবেন চাকরির জন্য