fbpx
ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

Last Updated on January 26, 2023 by Engineers

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং পাসপোর্টের খুঁটিনাটি সকল বিষয় জেনে নিন

নিজ দেশের সীমানার বাইরে যেতে প্রথমেই যেটি প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট।  এছাড়াও অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে পাসপোর্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম না জানলে অনেকখানি ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক সময় দালালের ফাদে পরে দিগুণ টাকায় পাসপোর্ট করতে হয়। সময় এখন অনলাইনের । প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন আর আগের মতো ঝামেলায় পরতে হয় না বা অধিক সময় ব্যয় করতে হয়না । এখন অনলাইনের মাধ্যমেই ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম অনুসরণ করে পাসপোর্ট তৈরির প্রাথমিক সব কাজ করে ফেলা যায়। সময় বাচে, টাকা বাচে, দালালের খরচ বাচে। আর নিজের পাসপোর্টের তথ্য নিজে পুরোন করার জন্য ভুল হওয়ারও তেমন সুযোগ থাকে না। চলুন তাহলে শিখে নেই ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং পাসপোর্টের খুটিনাটি সকল কিছু।

১. ই-পাসপোর্ট কী?
ই পাসপোর্ট হচ্ছে একটি বায়োমেট্রিক পাসপোরর্ট যাতে একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রপ্রসেসর (কম্পিউটার চীপ) এমবেডেড করা থাকে। ইলেকট্রনিক মাইক্রপ্রসেসরের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

2.অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
ই-পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য প্রথমে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে (www.epassport.gov.bd) লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে অ্যাপ্লাই অনলাইন (Apply Online) এ ক্লিক করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ইমেইল দিয়ে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে একই পরিবারের ছয়জনের আবেদন করা যায়। ইমেইলে কনফার্মেশন মেইল আসবে, অ্যাকাউন্ট একটিভ করে নিতে হবে, ইনবক্সে মেইল খুঁজে না পেলে স্পাম ফোল্ডারে পাওয়া যাবে। অ্যাকাউন্ট খোলা হলে ইই-পাসপোর্টে আবেদনের জন্য অ্যাপ্লাই ফর এ নিউ ই-পাসপোর্ট (Apply for a new-e-passport ) ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

অনেকের নামের ক্ষেত্রে Md-এর পর dot দিতে হবে কি হবে না তা নিয়ে কনফিউশনে থাকে। পাসপোর্টে dot না দিলে কোনো সমস্যা হয়না। কারন কিনা? ই-পাসপোর্টে ল্যাটার (latter) ছাড়া কোনো ক্যারাক্টার (character) প্রিন্ট হয় না।
প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ভাড়া বাসাকে স্থায়ী ঠিকানা না দেওয়া হয়। যদি নিজের কেনা ফ্ল্যাটে থাকেন আর সেটাই স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার দলিলের কাগজের ফটোকপি দিতে হবে। দলিলের কাগজ করা না হলে, সেটা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দেবেন না।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন নেই। এবং ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।
জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। ১৮ বছরের কম আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
অ্যাপ্লিকেশন সাবমিটের পর শিডিউল সিলেকশন করতে হবে। অবশ্যই অ্যাপ্লিকেশনটা ডাউনলোড করে রাখতে হবে।

৩. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।
ব্যাংকে আপনার নাম চাইবে শুধু। পাসপোর্ট বা এনআইডিতে দেওয়া হুবহু নামটা দিতে হবে। কিছু এনআইডি এবং আবেদনের কপি সাথে নিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর রিসিট সংরক্ষণ করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট ফিঃ

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে (১৫% ভ্যাট সহ):

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট ফী

নিয়মিতঃ ৪,০২৫ টাকা, ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে বিতরণ।
জরুরীঃ ৬,৩২৫ টাকা, ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে বিতরণ।
অতীব জরুরীঃ ৮,৬২৫ টাকা, ২ কর্মদিবসের মধ্যে  বিতরণ।

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট ফিঃ

নিয়মিতঃ ৫,৭৫০ টাকা, ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে  বিতরণ।
জরুরীঃ ৮,০৫০ টাকা, ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে বিতরণ।
অতীব জরুরীঃ ১০,৩৫০ টাকা, ২ কর্মদিবসের মধ্যে বিতরণ।

৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট ফিঃ

নিয়মিতঃ ৬,৩২৫ টাকা, ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে বিতরণ।
জরুরীঃ ৮,৬২৫ টাকা, ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে বিতরণ।
অতীব জরুরীঃ১২,০৭৫ টাকা, ২ কর্মদিবসের মধ্যে বিতরণ।

৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
নিয়মিতঃ ৮,০৫০ টাকা, ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে বিতরণ:
জরুরীঃ ১০,৩৫০ টাকা, ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে বিতরণ।
অতীব জরুরীঃ ১৩,৮০০ টাকা, ২ কর্মদিবসের মধ্যে বিতরণ।

***১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।

৪.ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ
ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফাইল বন্দী করে নিতে হবে। যাতে কোনো কাগজ বাদ না পরে।

ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিতে হবেঃ

১। আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)
২। সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং)
৩। পেমেন্ট স্লিপ
৪। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
৫। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে  GO/NOC (যদি থাকে)
৬। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে)
৭। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
৮। বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের ফটোকপি
৯। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি
১০। ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স
১১। চাকরিজীবীদের জন্য অফিসের আউডি কার্ডের কপি এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র
১২। বিবাহিতদের জন্য কাবিননামার দলিল

ছবি তোলার ক্ষেত্রে সাদা/হালকা রঙের জামা না পরাই ভালো।

ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদানের প্রক্রিয়াঃ

>পাসপোর্ট অফিসে ঢোকার পর কাউন্টার থেকে ডকুমেন্টস গুলো চেক করে সিল দিবে।
>সিল দেওয়া হলে ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে নির্দিষ্ট রুম থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে।

>সিরিয়াল অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট কক্ষে প্রবেশ করানো হবে। এ কক্ষে আপনার ডকুমেন্ট সব ঠিক আছে কিনা চেক করা হবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করা হবে এবং কোনো সংশোধন থাকলে সংশোধ করতে হবে।
>পাসপোর্ট আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে এবং বায়োমেট্রিক করানো হবে।
>দুই হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ, চোখ স্ক্যান, ডিজিটাল স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
>কাজ শেষ হলে ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে দেবে।

বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে।

১। আগারগাওঁ
২। যাত্রাবাড়ি
৩। উত্তরা
৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
৫। বাংলাদেশ সচিবালয়
৬। গাজীপুর
৭। মনছুরাবাদ
৮। ময়মনসিংহ
৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১০। গাইবান্ধা
১১। গোপালগঞ্জ
১২। মানিকগঞ্জ
১৩। নরসিংদী
১৪।নোয়াখালী
১৫। ফেনী
১৬। চাঁদগাওঁ
১৭। কুমিল্লা
১৮। মুন্সিগঞ্জ
১৯। সিলেট
২০। মৌল্ভিবাজার
২১। সুনামগঞ্জ
২২। হবিগঞ্জ
২৩। যশোর
২৪। খুলনা
২৫। কুষ্টিয়া
২৬। বি-বাড়িয়া
২৭। রাজশাহী
২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ
২৯। বগুড়া
৩০। রংপুর
৩১। দিনাজপুর
৩২। নওগাঁ
৩৩। জয়পুরহাট
৩৪। বরিশাল
৩৫। পটুয়াখালি
৩৬। পাবনা
৩৭। সিরাজগঞ্জ
৩৮। কিশোরগঞ্জ
৩৯। নাটোর
৪০। মাগুরা
৪১। নড়াইল
৪২। লক্ষ্মীপূর
৪৩। টাঙ্গাইল
৪৪। জামালপুর
৪৫। শেরপুর
৪৬। নেত্রকোনা
৪৭। মাদারীপুর
৪৮। ফরিদপুর
৪৯। রাজবাড়ি
৫০। ঝিনাইদহ
৫১। সাতক্ষীরা
৫২। বাগেরহাট
৫৩। ভোলা
৫৪। বরগুনা
৫৫। চুয়াডাঙ্গা
৫৬। ঝালকাঠি
৫৭। কুড়িগ্রাম
৫৮। লালমনিরহাট
৫৯। মেহেরপুর
৬০। নীলফামারী
৬১। পঞ্চগড়
৬২। পিরোজপুর
৬৩। শরিয়তপুর
৬৪। ঠাকুরগাঁও
৬৫। বান্দরবান
৬৬। চাঁদপুর
৬৭। কক্সবাজার
৬৮। খাগড়াছড়ি
৬৯। নারায়নগঞ্জ
৭০। রাঙামাটি

৫.পুলিশ ভেরিফিকেশন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার পরের ধাপ পুলিশ ভ্যারিফিকেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভ্যারিফিকেশনের জন্য পুলিশ বাসায়ও আসতে পারে বা থানায়ও ডাকতে পারে। থানায় ডাকলে, শিক্ষার্থী হলে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উত্তম। কারণ তার একটা স্বাক্ষরের দরকার হবে। এ সময় যেসকল ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখতে হবেঃ

*জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কপি
* শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট আইডির কপি
* শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
* বাবা-মায়ের এনআইডি কপি
* ইউটিলিটি বিলের কপি
* জমি/ফ্লাটের দলিলের কপি, স্থায়ী ঠিকানা ঢাকা হলে।

৬.পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ

পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়ার কিছু দিন পর আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হয় বা মেইলে জানানো হয় যে পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ দেওয়া হয়।

পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় যা যা নিতে হবেঃ

>ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ।
>জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

৬.অতীব জরুরী পাসপোর্ট
অনেক সময় বিশেষ প্রয়োজনে খুব তারাতারি পাসপোর্ট তৈরি করার প্রয়োজন হয়। খুব কম সময়ে পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য অতীব জরুরী পাসপোর্ট  সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হয়।
নির্দিষ্ট শর্ত ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে একজন নাগরিক অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা।
বাংলাদেশি যে কোন নাগরিক অতীব জরুরী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন অতীব জরুরী ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে অনুকূল প্রাক-পুলিশ প্রতিবেদন প্রয়োজন হবে। তবে ২০১০ সাল থেকে ইস্যুকৃত এমআরপি(MRP) ব্যবহারকারীগণ পূর্বের স্থায়ী ঠিকানার তথ্য অপরিবর্তনীয় রেখে আবেদন করলে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে অতীব জরুরী সেবার জন্য আবেদন করা যায়।

বাংলাদেশের যেকোনো বিভাগীয়/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করা যায়। কিন্তু এই সেবাটি বাংলাদেশ দূতাবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

অতীব জরুরী পাসপোর্ট সংগ্রহঃ
শুধুমাত্র আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে অতীব জরুরী পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।

৭.পাসপোর্টের ভুল সহজে সংশোধন
পাসপোর্ট সংগ্রহের পর অনেক সময় দেখা যায় নাম,ঠিকানা বা অন্য কোনো তথ্য ভুল হয়েছে। তখন পাসপোর্ট সংশোধনের প্রয়োজন হয়। অনেকেই হয়তো মনে করেম পাসপোর্ট সংশোধনে অনেক ঝামেলা রয়েছে, তাই অনেকে পরিবর্তনও করতে চান না। আসলে এমন কিছুই না। বরং খুব সহজেই সংশোধন করা যায়।

পাসপোর্টে কোনো ধরনের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তনের জন্য পাসপোর্ট রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হয়। তবে পুরোনো পাসপোর্টে বিদ্যমান নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।

কেউ যদি পেশা পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তাকে কর্মক্ষেত্রের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নতুন করে পুলিশ প্রতিবেদন লাগবে। বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই।

বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে নিকাহনামা দিতে হবে।

এক কপি রি-ইস্যু ফরম ও এক কপি নতুন আবেদনপত্র পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য জমা দিতে হবে।

পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমানের ফি জমা দিতে হবে।

 

কিভাবে সরকারি চাকরি পাবেন!

স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম এবং কোন দলিলে কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে

বায়োডাটা লেখার নিয়ম, জীবন বৃত্তান্ত লেখার নিয়ম, CV, Resume