fbpx

একজন উদ্যেক্তা হবার গল্প!

Last Updated on January 30, 2023 by Engineers

সবাই চাকরির পিছনে ছুটে। সবাই চায় ভালো একটা চাকরির পেতে কিন্তু উদ্যেক্তা হবার জন্য অনুপ্রানিত খুব কম মানুষই করে। আজ আমি আমার উদ্যেক্তা হবার গল্প শেয়ার করব।

আসসালামু আলাইকুম আমি NH Sakib Chowdhury আমি একজন ছাত্র। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছি।

একজন ছেলে হিসেবে উইতে আমার পথচলার গল্পটা খুবই ভিন্ন।আমি একজন উদ্যেক্তা হব বা ব্যবসায় করব সেটার স্বপ্ন গত দুবছর আগ থেকে একটা কল্পনা ছিল পড়াশোনার পাশাপাশি এবং আমি গত ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে আমার Salazar ব্রান্ড নিয়ে কাজ শুরু করি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ফেব্রিকস এর টিশার্ট ও শার্ট নিয়ে মোটামুটি একটা পর্যায়ে চলছিল পেইজে বিভিন্ন বুস্টিং করার মধ্য দিয়ে।

কিন্তু গত বছর মার্চে করোনাকালীন সময়ে যখন বাসায় বসে লকডাউন আছি তখন উইয়ের সম্পর্কে বলে কোন এক ভদ্রলোক আমায় এড করেছেন ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিলে।

তখন উই সম্পর্কে কিছুই বুজতাম না বা জানতাম না। প্রতিদিন পোস্ট গুলো দেখতাম আর অনেকের লাখ লাখ টাকার সেলের গল্প পড়তাম। একটা সময় ভাবলাম এত টাকা সেল করছে কিভাবে?মনের ভিতরে খুব কিউরিওসিটি জেগে উঠল যে আমিও চাইলে পারব না কেন?

এক পর্যায়ে জুলাই মাসে ভাবলাম এটাতো মেয়েদের গ্রুপ এখানে কি কোন ছেলেদের পোষ্ট এলাউ হবে? এক পর্যায়ে অনেক ভাইদেরকে পোস্ট দিতে দেখলাম দেখে অনুপ্রাণিত হই এবং নাসিমা আক্তার নিশা ও ছেলেদের সুযোগ করে রেখেছে দেখলাম।

পরে নিজের মনকে শক্ত করেই উইয়ের রুলস পড়লাম এবং Razib Ahmed স্যারের কথা অনুযায়ী ২৮ জুলাই থেকে ১০০ কমেন্ট ও পোস্ট পড়া এই কাজ ১৫ দিন করলাম। এবং ১৫ দিন পর থেকে নিজ জেলার হাতে বোনা খাদি পন্য নিয়ে পোস্ট দেওয়া শুরু করে দিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ ১ মাস পর আমার ২৮ আগষ্টে আমার ১১২৫ টাকার প্রথম অর্ডার আসে এক ভাইয়ার পক্ষ থেকে। যেদিন প্রথম অর্ডার আসে উই থেকে সেদিন নিজের ভেতরে যে কতটা প্রশান্তি কাজ করেছে এটা একমাত্র আমি নিজেই জানি।

এর পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ সুপারএকটিভিটির মাধ্যমে কাজ করা শুরু করে দিলাম আজ ১০+ মাস উইয়ের সাথে আছি এখন আর সেল নিয়ে চিন্তা করা লাগে না সবাই আমার সেলাজার ব্রান্ডের প্রডাক্ট খুজে বের করে অর্ডার করেন আলহামদুলিল্লাহ।

গত ১০ মাসে ১ বারের জন্যও আমি কোন পোস্ট বুস্ট করাইনি না করিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ৪+ লাখ টা সেল হয়েছে।যেটার পুরোটার কৃতিত্ব এই প্রিয় প্লাটফর্মের।

গত ১০ মাসে অনকে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেছি যেগুলোর মধ্যে হতাশা পরে গিয়েও নিজেকে শক্ত করে ধরে রেখেছি একটা কথার শিক্ষা অবলম্বন করে যেটা প্রিয় মেন্টর রাজীব স্যারের একটাই কথা কারো কথায় কান না দিয়ে নিজ উদ্দেগের দিকে লক্ষ্য করে সফলতার জন্য দৌড়ান দেখবেন সফল হবেন আজ হয়তো নিজেকে একজন ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা হিসেবে সফল মনে করছি।

নিশা আপুর কাছে সবচাইতে বেশি কৃতজ্ঞ যে উনি সবসময়ই ভাইদেরকে মেয়েদের পাশাপাশি সাপোর্ট ও ভালোবাসা দিয়ে আগলিয়ে রেখেছেন।

আমার প্রিয় উই গ্রুপের সকল মেম্বারের কাছে কৃতজ্ঞ ও ভালোবাসা যে আপনারা সবসময়ই আমার পাশে সাপোর্ট দিয়ে আগলিয়ে রেখেছেন।

জীবনে বড় হতে হলে অবশ্যই চেষ্টা চালিয়ে যাতে হবে। কখনো থেমে থাকা যাবে না। সামনে দিকে তাকিয়ে পরিশ্রম করলে সফলতা অবশ্যই আসবে।